সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বাংলা সাহিত্য : প্রবাসের কথা

আবু জাফর

হোম পেজে যেতে এখানে ক্লিক করুন। বিস্তারিত পড়ার জন্য লেখকের নামের ওপর ক্লিক করুন কুয়াশায় সকাল সকাল বেলা উঠে, জানালার ওই দিকে তাকিয়ে দেখি কুয়াশা ভরা সকাল খেলছে লুকোচুরি তার নিজের গতিধারায়। ভাবছি যাব লন্ডনে। অনেকদিন হলো দেখা হয়না চিত্র প্রদর্শনী।  বেশ শীত শীত ভাব, পাহাড়ের উপর থেকে নেমে দেখি প্রচন্ড কুয়াশায় ভরে গেছে পাদদেশ। দেখা যায় না তেমন কিছু। কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে প্রকৃতি। ঘাসের উপরে শুকনো পাতাগুলো আমার পায়ের স্পর্শে গাইছে শীতের গান, মূর্মুর শব্দে। সকালের পাখিরাও গান ধরেছে গাছের চূড়ায়, ওই মগডালে। মায়ায় জড়ানো সকাল সত্যিই এক কল্পলোকের নতুন গল্প। রাস্তার এপারে দাঁড়িয়ে একটু নিঃশ্বাস নিলাম । যেতে হবে ওই পারে। দেখছি ডানে-বামে কোন গাড়ি আসছে কিনা। ধীরে ধীরে হেঁটে যাবো স্টেশনে। লাগবে প্রায় 30 মিনিট। আঁকাবাঁকা গ্রাম পথে হেটে যেতে কি যে মজা, এই গ্রামে না এলে তা একেবারেই উপলব্ধি করা যায় না। দুই পাহাড়ের পাদদেশের ছোট্ট একটা নদী বয়ে চলেছে ধীরে ধীরে।মাঝে মাঝে দু'একটা 
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

নুরুন নাহার লিলিয়ান

সবুজ পাহাড়ে লাল শাড়ি সাপ্পরো , হোক্কাইডো , জাপান এক টুকরো লম্বা কাপড় একটি দেশের জাতীয় পোশাক হতে পারে এটা তাকাহাশি সাইতর চিন্তার মধ্যে নেই। অবশ্য সে নিজেই যেন বিচিত্র পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ। অন্তর্মুখী মানুষটি স্বল্প ভাষী হলেও তার ছোট ছোট এক জোড়া চোখ যেন ভীষণ কৌতূহলী এবং চঞ্চল। ইংরেজি ভাষা অনুশীলনের একটি দলে প্রথম তাকাহাশি সাইতর সাথে লিরিক লিরার পরিচয়। জাপানের এই দ্বীপটার নাম হক্কাইদো।

এ টি এম হায়দার খান

একজন সীমাবদ্ধ ভাগ্যের মানুষ একশত উনিশ বছর আগের কথা। ১৮৯৬ সালের বসন্তের প্রায় শেষদিক। ভারতবর্ষের চারিদিকে দুর্ভিক্ষ জেঁকে বসেছে। চারিদিকে হাহাকার রোগশোকের ছড়াছড়ি। সদ্য মেডিসিন নিয়ে পাশ করে হেমন্ত ব্যানার্জি বিলেত থেকে এই রকম সময়ে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন। সমসাময়িক যে কজন বিলেত ফেরত ডাক্তার ভারতবর্ষে ছিলেন, তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মেধাবী হেমন্ত ব্যানার্জি।

আবু জাফর

আমার ছবি আঁকার সাতকাহন কাশ ফুলের সারি , বাঁকা নদীর পারে একে বেঁকে সরু মেঠ পথ, দু'একটা খেজুর গাছ দাঁড়িয়ে , একটু হাঁটলেই রাস্তার দুপাশে বাবলা গাছের সারি, ছোট ছোটো হলুদ ফুলে ছেয়ে আছে।   একটু হালকা মিষ্টি গন্ধে মৌমাছিদের গুন গুনে শব্দ। চড়ুই পাখীরা খেলায় মেতে উড়ে আসে আর যায়।   টুনটুনিদের গান , সবুজ ধানে ভরা চারি দিক বাতাসের আলতো ছোঁয়াতে ঢেউ খেলা সুখ উল্লাসে মিশে গেছে ঐ আকাশ দূর দিগন্তে। প্রকৃতির অফুরন্ত সুন্দরে বাংলাদেশের একটা গ্রাম ঝিলনা।   চারু শিল্পী আবু জাফর ঐ গ্রামেই হাটি হাটি পা বাড়িয়ে প্রকৃতির অপরূপে মোহিত চোখে দেখা সুন্দরকে কলমের রেখাতে রূপদানে শুরু করে শিল্প যাত্রা মাত্র ৬ বছর বয়েসে। রাফ খাতার উপরে খেজুর গাছ , পালতোলা নৌকা , কাশ ফুল , উরন্ত বক, পাখী আর মেঘের ভেলা মাঝ খানে সুন্ধ্রর কোরে " আবু জাফর মুহাম্মাদ সালেহ " । আনআনন্দে ভরা জাফর মুখে মুছকি হাসি।

রীতা রায় মিঠু

সারপ্রাইজ উইশ! আমরা আমেরিকায় এসেছি ২০০১ সালে , প্রথম বসত করেছি ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া নামক পাহাড় ঘেরা রাজ্যে। এত সুন্দর   রাজ্য ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া , যে সৌন্দর্য্য ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।   বর্তমান মিসিসিপি রাজ্যে চলে আসার আগে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে তিন বছর ছিলাম। যদিও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া নামের সাথে অনেকেই ' ভার্জিনিয়া ' কে গুলিয়ে ফেলে। দুটি আলাদা আলাদা রাজ্য , কিন্তু পাশাপাশি।

রিতা রায় মিঠু

লক্ষ্মীপূজোর নাড়ু দেশে বাবাকে ফোন করেছিলাম। আমার মায়ের ফোনটা এখন বাবা ব্যবহার করেন। প্রথমবার ডায়াল করতে সাত আটটি রিং হয়ে ফোন থেমে গেল। কী ব্যাপার! বাবা কেনো ফোন ধরলেন না , মনে একটু ভয় ধরে গেল। তবে কি বাবা অসুস্থ ?  সম্প্রতি মা মারা যাওয়ার পর এই ব্যাপারটা খুব বেশী করে মনে হয়। মা বেঁচে থাকতে ফোন করে মায়ের সাথেই কথা বলতাম , বাবার সাথে কথা বলতাম নববর্ষ , পূজা , জন্মদিন , বিবাহ বার্ষিকীতে। বাবার বয়স হয়েছে , মোবাইল ফোনের সাউন্ড খুবই কম মনে হয় উনার কাছে , আমরা কথা বলে যাই , আর উনি শুধু ' হ্যালো ' হ্যালো ' করতে থাকেন। দু তরফেই বিরক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে বলে বাবার সাথে কথা না বলে মায়ের কাছ থেকে সমস্ত সংবাদ জেনে নিতাম। এখনতো আর মা নেই , বাবার খোঁ জ বাবার কাছ থেকেই নিতে হবে। সেজন্যই বাবা ফোন না ধরায় মনটা কেমন করে উঠেছে। মাথায় আসেনি , বাবা তো ফোনের রিং শুনতে পান নি। ব্যাকুল হয়ে ভাইয়ের নাম্বারে কল দিতেই জানতে পারলাম , বাবা ভাল আছেন। ভাইয়ের ফোন হাতে নিয়েই বাবা বললেন , ' হ্যালো '!

রিতা রায় মিঠু

সেদিন সন্ধ্যায় যা ঘটেছিল ২৮শে ফেব্রুয়ারী ছিল হিমাংশু ও মিত্রার দশম বিবাহবার্ষিকী।   দিনটি ছিল মঙ্গলবার , তাই কারোরই ছুটি ছিলোনা।   প্রবাসে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো সপ্তাহের শনিবার বা রবিবার উদযাপন করা হয়ে থাকে , নাহলে শুক্রবার সন্ধ্যাটিও মন্দ হয়না।   আমরা সবাই মিলে মিশে ঠিক করেছিলাম মিত্রা - হিমাংশুর দশম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করবো ৯ই মার্চ , শুক্রবার সন্ধ্যাতে।